Thursday, January 25, 2018

Math Jam

______প্রশ্নঃ পরিক্ষায় আসতে পারে 72 এর ভাজক সংখ্যা
কতটি?
উত্তরঃ ১২টি
_______(প্রশ্নটি ২৫ তম বিসিএস সহ পিএসসির বিভিন্ন আরো ৯টি
পরিক্ষায় আসছে)
.
# টেকনিকঃ
৭২ কে লসাগু করলে-
৭২÷২=৩৬
৩৬÷২=১৮
১৮÷২=৯
৯÷৩=৩
সুতরাং-(২×২×২) × (৩×৩)
.
____উপরে, লক্ষ করুন-
২হলো ৩বার এবং ৩ হলো ২বার
সুতরাং
৭২=২³ × ৩²
=(৩+১) × (২+১)=১২টি
____অর্থাৎ যত পাওয়ার [২³ এখানে পাওয়ার (³) ] আপনি শুধু তার
সাথে ১ যোগ করে প্রাপ্ত পাওয়ার গুলো গুন করে
দিলেই, উত্তর পেয়ে যাবেন।
.
# ব্যাখ্যাঃ ৭২ সংখ্যাটির ভাজক গুলো হলো-
১, ২, ৩, ৪, ৬, ৮, ৯, ১২, ১৮, ২৪, ৩৬, ৭২।
.
______এখন, ৭২ সংখ্যাটি' তো ছোট,,
মনে হতে পারে টেকনিকের চেয়ে হাতে করা সহজ!!
কিন্তু, যদি প্রশ্ন'টি আরো বড় হয়??
……………………………………......
❑# _______প্রশ্নঃ ৭৫৬০০ এর ভাজক সংখ্যা কতটি?
______(প্রশ্নটি টেলিভিশন প্রকৌশলী সহ আরো ২টি পরিক্ষা
আসছে)
.
#টেকনিকঃ
আগের মত লসাগু করলে পাই,
৭৫৬০০÷২=৩৭৮০০
৩৭৮০০÷২=১৮৯০০
১৮৯০০÷২=৯৪৫০
৯৪৫০÷৩=৪৭২৫
৪৭২৫÷৩=১৫৭৫
১৫৭৫÷৫=৫২৫
৫২৫÷৫=১০৫
১০৫÷৩=২১
২১÷৩=৭
সুতরাং-
(২ × ২ × ২ × ২) × (৩ × ৩ × ৩) × (৫ × ৫) × ৭
.
=২⁴ × ৩³ × ৫² × ৭¹
=(৪+১) × (৩+১) × (২+১) × (১+১)
=৫ ×৪ ×৩ ×২=১২০ (উত্তর)
……………………………………......
এভাবে, নিজে নিজে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংক প্র্যাকটিস
করতে পারেন-
#______প্রশ্নঃ ১০০৮ সংখ্যাটিতে কয়টি ভাজক আছে?
(প্রশ্নটি, থানা শিক্ষা অফিসার সহ পিএসসি'র আরো ৭টি পরিক্ষায়
আসছে)
#_______প্রশ্নঃ ৫৩২০ সংখ্যাটিতে কয়টি ভাজক আছে?
(প্রশ্নটি, দুদক সহ আরো ৪টি পরিক্ষায় আসছে)

Monday, January 22, 2018

Contemporary Communication অংশের ICT

বাংলাদেশ পাঠঃ ০৩)
=====================
#তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে চলার বছর
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে নানা কর্মকান্ডে মুখর ছিল দেশের আইসিটি অঙ্গন। যোগ হয়েছে নতুন কিছু মাত্রা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রেক্ষাপটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকা-ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সাল তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবকাঠামো নির্মাণে অগ্রগতি ছিল চোখে পড়ার মতো। যশোরে চালু হয়েছে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে আইসিটি বিভাগ। পাশাপাশি দেশে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বশেষ সংযোজন বিগডাটা, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটির মতো প্রযুক্তি নিয়ে কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে।
#প্রথম পূর্ণাঙ্গ হাইটেক পার্ক
১০ ডিসেম্বর ঢাকার বাইরে প্রথম পূর্ণাঙ্গ হাইটেক পার্ক হিসেবে যাত্রা শুরু করে যশোরের ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তি কাজে আগ্রহী ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে এই হাইটেক পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকায় ১৫ তলা মূল ভবনসহ পার্কটিতে মোট জায়গা ২ লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট। নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা।
#১২ জেলায় নতুন হাইটেক পার্ক অনুমোদন
২০১৭ সালে নতুন করে খুলনা, বরিশাল, রংপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নাটোর, গোপালগঞ্জ, ঢাকা ও সিলেট জেলায় ১২টি হাইটেক পার্ক অনুমোদন পেয়েছে। ২৫ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে ২০২০ সালের মধ্যে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১ হাজার ৭৯৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। দেশে অনুমোদন পাওয়া হাইটেক পার্কের সংখ্যা এখন ২৮। 
#আলোড়ন তোলে রোবট সোফিয়া 
৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের পঞ্চম আসরে যোগ দিয়েছিল রোবট সোফিয়া। ওইদিন সকালে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করে রোবট সোফিয়া।
একই দিন দুপুরে ‘টেক টক উইথ সোফিয়া’ সেশনে দুই হাজার দর্শনার্থীর জন্য সরাসরি সোফিয়া দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। তবে উপস্থিত হন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। ভিড় ঠেলে ঢুকতে না পেরে বাইরের এলইডি স্ক্রিনে সোফিয়াকে দেখেই আশা পূরণ করতে হয়েছে অধিকাংশের। এদিন রাতেই বাংলাদেশ ছাড়ে সোফিয়া। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রযুক্তি অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ের একটি ছিল এ রোবট। 
দেশে প্রযুক্তি খাতে তরুণদের উৎসাহ দিতেই সোফিয়াকে আনা হয়। অন্য রোবটদের চেয়ে সে কিছুটা আলাদা। তার আচার-আচরণ এবং কথাবার্তা সব মানুষের মতোই। কেউ প্রশ্ন করলে তা অনুধাবনের পর উত্তর দিতে পারে। তাই তো সোফিয়া নিছক রোবট নয়, একজন কৃত্রিম মানবী। হলিউড অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের আদলে সোফিয়াকে গড়ে তুলেছে রোবট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবটিক্স। সোফিয়াকে ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল প্রথম সচল করা হলেও প্রকাশ্যে আনা হয় চলতি বছরের ১১ অক্টোবর। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ফিউচার ইনভেস্ট ইনিশিয়েটিভ কনফারেন্সে প্রথম সবার সম্মুখে আসে সোফিয়া।
#দেশের প্রথম টিয়ার ফোর মানের ডেটা সেন্টার
তথ্য সংরক্ষণ ও ডিজিটাল সেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ডেটা সেন্টার। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে সাত একর জমির ওপর গড়ে উঠছে এ ফোর টিয়ার ডেটা সেন্টারটি। এর মাধ্যমে দেশের সব অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, যানবাহন, টেলিকমিউনিকেশন, ভূমি ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে শুরু করে সবই প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত হবে। 
বিশালাকার এ ডেটা সেন্টারে থাকছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ৬০৪টি র‌্যাক, ৯ এমভিএ লোডের রিডান্ডেন্ট লাইনসহ সমৃদ্ধ ২৪ ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা, উচ্চগতিসম্পন্ন ৪০ জিবিপিএস রিডান্ডেন্ট ডেটা কানেকটিভিটি বা ইন্টারনেট সংযোগ। 
ডেটা সেন্টারের জন্য আন্তর্জাতিক মানের দ্বিতল ভবন তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকল্পের আওতায় সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্ক, পাওয়ার সিস্টেম, কুলিং সিস্টেম, ফায়ার সিস্টেম ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থাপনও প্রায় শেষ। এরই মধ্যে প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি শতকরা ৬৫ ভাগ এবং বাস্তব অগ্রগতি শতকরা ৮০ ভাগ অর্জিত হয়েছে। ফোর টিয়ার মানের ডেটা সেন্টারের সার্টিফিকেট প্রদানকারী যুক্তরাষ্ট্রের Uptime Institute ১৫ জুন এই ডেটা সেন্টারের ডিজাইন অনুমোদন করেছে। 
#চালু হলো পেপ্যাল-জুম সেবা 
আউটসোর্সিং দখল করে আছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যবসার বড় একটি জায়গা। ফ্রিল্যান্সিং বা ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে অর্থ লেনদেন জড়িত। বিশ্বের সঙ্গে এসব লেনদেনকে সহজ করেছে পেপ্যাল। ফ্রিল্যান্সারসহ প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর সুবিধার্থে চালু হয়েছে ইন্টারনেটভিত্তিক পেমেন্ট সেবা পেপ্যালের ‘জুম’। এখন থেকে পেপ্যাল অ্যাকাউন্টধারীরা টাকা পাঠাতে পারবেন। এর মাধ্যমে প্রতিবার সর্বোচ্চ ১০ হাজার মার্কিন ডলার লেনদেন করা যাবে। প্রাথমিকভাবে সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকে এ সেবা চালু হয়েছে। বিশ্বের ২০৩টি দেশে পেপ্যাল সেবা চালু আছে। এর মধ্যে মাত্র ২৯টি দেশে পেপ্যালের পূর্ণাঙ্গ সেবা এবং ১০৩টি দেশে শুধু ইনবাউন্ড সেবা চালু রয়েছে। বাংলাদেশও ইনবাউন্ড সেবায় যুক্ত হলো।
#জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস 
২০১৭ সালে দেশে প্রথমবারের মতো পালন করা হলো ‘জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি দিবস’। ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১২ ডিসেম্বরকে এই দিবস হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়। দিবসটির সঙ্গে প্রথমবারের মতো জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি পুরস্কারও প্রবর্তন করা হয়েছে। এতে ৯ ব্যক্তি ও ছয় প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা পুরস্কার দেয় সরকার। শিক্ষা, সাংবাদিকতা, কৃষি, নাগরিকসেবা, তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানি, অনলাইনে ব্যাংকিং সেবা ও উদ্যোগ বিভাগে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
#বাংলা ডোমেইন 
ডোমেইনই একমাত্র পথ ওয়েব দুনিয়ায় পরিচয় শনাক্ত করার। ডটকম, ডটনেট, ডটবিজ, ডটইনফো ছাড়াও প্রতিটি দেশের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ডোমেইন। এগুলো সাধারণত দেশের নামের সূচনা অক্ষর দিয়ে হয়। যেমন ইন্টারনেট দুনিয়া বাংলাদেশকে চেনে ডটবিডি নামে। এবার এসেছে ডটবাংলা, যা ভাষার ক্ষেত্রে অনন্য পরিচয় পেল বাংলাদেশ। এখন আর আমাদের সার্চ বারে ইংরেজিতে ডোমেইন নেম লিখতে হবে না। বাংলা অক্ষরে লিখলেই চলবে। অবশ্য এজন্য ডোমেইনকে বাংলায় নিবন্ধন করতে হবে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকেই বাংলায় ওয়েবসাইট খুলতে হলে বাংলাদেশ থেকেই অনুমতি নিতে হবে।
#গুগল অ্যাডসেন্স বাংলায় 
বাংলা ভাষা যুক্ত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের অ্যাড নেটওয়ার্ক গুগল অ্যাডসেন্সে। এর ফলে এখন আর বাংলা বিষয়বস্তুনির্ভর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রকাশ এবং তা থেকে আয় করতে ইংরেজি ভাষার ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। ফলে এখন থেকে অনলাইনে দেওয়া যাবে বাংলা বিজ্ঞাপন। 
বাংলা ভাষায় প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকা, ব্লগ, পোর্টাল ও মোবাইল অ্যাপ সহজেই গুগল অ্যাডে অংশীদার হতে পারবে। অনলাইন থেকে আয়ের ক্ষেত্রে ভাষাগত যে বাধা ছিল, তা দূর হলো বাংলাভাষীদের জন্য। গুগল অ্যাডসেন্স বিশ্বের বৃহত্তম একটি অনলাইন অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক। অত্যন্ত কার্যকর এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্বের বড় বড় ওয়েব প্রকাশক, ব্লগার ও ওয়েবমাস্টাররা তাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইট মনিটাইজ করে টাকা আয় করে থাকেন।
#দেশে প্রথম স্মার্টফোন কারখানা স্থাপন
দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটনের প্রথম স্মার্টফোন কারখানা যাত্রা শুরু করেছে দেশে। এর লক্ষ্য বছরে ২৫ থেকে ৩০ লাখ ইউনিট হ্যান্ডসেট উৎপাদন। প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এখানে রয়েছে হ্যান্ডসেটের ডিজাইন ডেভেলপ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাব। স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক জাপান ও জার্মান প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি। এতে সহস্রাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে ছয়টি প্রোডাকশন লাইন। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও ১০টি প্রোডাকশন লাইন স্থাপনের কাজ। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একটি শক্তিশালী পণ্য উন্নয়ন ও গবেষণা বিভাগ এবং টেস্টিং ল্যাব। রয়েছে শক্তিশালী মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। 
#অ্যাপে পরিবহনসেবা 
২০১৭ সালে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবা। তবে এ বছর ভিন্নমাত্রা যুক্ত করছে বাইকসেবা। প্রথম পর্যায়ে শুধু ‘পাঠাও’ এই সেবাযাত্রা শুরু করে। এখন নারীরাও ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করছেন। অনলাইনে পরিবহনসেবায় বিশ্বব্যাপী পরিচিত উবারও শুরু করেছে বাইকসেবা। এর পর অবশ্য অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবায় এসেছে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। 
#ঢাকায় অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড-২০১৭ 
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘অস্কার’খ্যাত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়। এ পুরস্কার পেতে প্রাথমিকভাবে ১৭ ক্যাটাগরিতে ১৬ দেশের ১৪১ প্রকল্প জমা পড়ে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ছিল ৪৭টি প্রকল্প। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে বাংলাদেশ একটিতে চ্যাম্পিয়ন ও ১৪টি সম্মানসূচক মেরিট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে।

Tuesday, December 29, 2015

লগ(log) এবং লন(ln) কি?

গণিতের অনেকগুলো অপারেটরের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি অপারেটর হচ্ছে "লগ(log)"
কিন্তু, লগ দ্বারা আসলে কি বোঝায়?
"লগ এর ভিত্তি" বা "লগ এর বেইজ" কথাটির মানে কি?
আর, লগ(log) এর সাথে লন(ln) এর বা কি সম্পর্ক?

লগ কি?

এক কথায় বলতে গেলে, লগ(log) হচ্ছে এমন একটি অপারেটর যার কাজ অনেক বড় বড় সংখ্যাকে ছোট করে দেয়া আর লগের এই ছোট মান দ্বারা সেই বড় মানটি বের করে ফেলা সম্ভব। যেমনঃ একটি সংখ্যা ১,০০,০০,০০০ ধরে নেয়া যাক। এখন আমরা ১০ ভিত্তিক একটি লগ নিলাম এবং আমাদের সংখ্যাটিকে সেই ১০ ভিত্তিক লগের ভেতর ফেলে দিলাম। তাহলে, আমাদের মান আসবে মাত্র ৭! কিভাবে হল?- সেটাই এখন দেখার বিষয়!

লগ(log) বা লন(ln) লেখার নিয়ম

প্রথমেই যেটা জানা দরকার তা হল, "লগের ভিত্তি" বা "লগের বেইজ" ছাড়া কিন্তু লগ কখনই কাজ করতে পারে না। তাই প্রতিটা লগে অবশ্যই এর ভিত্তি বলে দেয়া থাকতে হবে। আর এই ভিত্তি থাকে log এর g অক্ষরের গোঁড়ায়। যা লগের বেইজ লেখার স্ট্যান্ডার্ড ফর্ম। লগের বেইজ লেখা শেষ। এবার যেই সংখ্যাকে আমরা ছোট করতে চাই, সেই সংখ্যাকে লিখতে হবে "লগের বেইজ" এর ঠিক উপরে। যেইভাবে আমরা সাধারণত কোন সংখ্যার উপর "power" বা "to the power" বা "ঘাত" লিখে থাকি সেইভাবে।

Sunday, December 27, 2015

পরিসীমা, ক্ষেত্রফল এবং আয়তন কি?

প্রায় সবার কাছে এই শব্দ তিনটি খুব পরিচিত। গণিত, পদার্থ, রসায়ন প্রভৃতি প্রায় সকল শাখায়-ই এই তিনটি শব্দের বহুল ব্যবহার রয়েছে। এক কথায় কিছু জেনে রাখা ভালোঃ
১. পরিসীমা হচ্ছে সরলরৈখিক একটা কিছু। এর মাত্রা "এক"
২. ক্ষেত্রফল হচ্ছে দ্বিমাত্রিক একটা কিছু। এর মাত্রা "দুই"
৩. আয়তন হচ্ছে ত্রিমাত্রিক একটা কিছু। এর মাত্রা "তিন"
এবার তাহলে শুরু করা যাকঃ

পরিসীমা কি?

ইহা "সরলরৈখিক" একটা কিছু! যার মাত্রা "এক"
পরিসীমাকে ভালোমত বুঝতে হলে "বাউন্ডারি" বা "বর্ডার" বা "সীমানা" সম্বন্ধে ধারণা থাকলেই যথেষ্ট। কারন, এই "বাউন্ডারি" বা "বর্ডার" বা "সীমানা"-ই হচ্ছে গণিতের ভাষায় "পরিসীমা"।
একটা বর্গ চিন্তা করা যাক। যার এক বাহুর দৈর্ঘ্য a একক।
ডানপাশের চিত্রে a একক দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট একটি বর্গের ছবি দেয়া হল। এই বর্গের চারটি বাহুর সংযোগস্থলে চারটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের বিন্দু দেখানো হয়েছে এবং প্রতিটি বিন্দুতে নম্বর দেয়া হয়েছে।
এখন, এই বর্গের পরিসীমা মাপতে হলে, যেকোনো একটি বিন্দু হতে পরিসীমা পরিমাপ শুরু করতে হবে। ধরি, সেই বিন্দুটি 'সবুজ বিন্দু' বা ১ নং বিন্দু। এবার ১ নং বিন্দু হতে এই বর্গের "বাউন্ডারি" বা "বর্ডার" বা "সীমানা"র উপর দিয়ে পুনরায় ১ নং বিন্দুতে আসতে যতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে, সেই অতিক্রান্ত দূরত্বটুকুই হচ্ছে এই বর্গের পরিসীমা। এখন, সবুজ বিন্দু হতে যাত্রা শুরু করি!